প্রমাণ যে কোভিড-১৯ মহামারীটি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছিল
এই তথ্যগুলো ১০০% যাচাই করা হয়েছে!
আমাদের লক্ষ্য হলো ১০০% সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা। এই পৃষ্ঠার নীচে রেফারেন্সে প্রতিটি তথ্য যাচাই করে দেখতে পারেন।
হাজার হাজার চিকিৎসক বলেছেন যে মহামারীটি পরিকল্পিত ছিল
জার্মানিতে প্রায় এক হাজার মেডিকেল ডাক্তারের একটি দল 'ডক্টরস ফর ইনফরমেশন' নামে পরিচিত, যা অ্যাটর্নি, বিজ্ঞানী, শিক্ষক সহ ৭,০০০ এরও বেশি পেশাদার দ্বারা সমর্থিত একটি জাতীয় সংবাদ সম্মেলনের সময় একটি আশ্চর্যজনক বিবৃতি দিয়েছেন:
‘করোনা মহামারী একটি নাটক। এটা একটা কেলেঙ্কারি। একটি প্রতারণা। এখনই আমাদের বোঝা উচিত যে আমরা একটি বিশ্বব্যাপী অপরাধের মধ্যে আছি। '
করোনাভাইরাস সম্পর্কে মূলধারার গণমাধ্যমে ভুল তথ্যের বিষয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের এই বিশাল দলটি প্রতি সপ্তাহে ৫০০,০০০ কপি প্রচলিত একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করে। তারা ইউরোপ জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে গণ বিক্ষোভেরও আয়োজন করে।
শত শত স্প্যানিশ চিকিৎসক বলেছেন মহামারীটি সৃষ্টি করা হয়েছে
স্পেনে, 'ডক্টরস ফর ট্রুথ' নামে ৬০০ মেডিকেল ডাক্তারের একটি দল একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
‘কোভিড -১৯ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা একটি মিথ্যা মহামারী। এটি একটি স্যানিটারি অজুহাত সহ বিশ্ব একনায়কতন্ত্র। আমরা ডাক্তার, মিডিয়া এবং রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষকে সত্য ছড়িয়ে দিয়ে এই অপরাধমূলক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানাই।'
বিশ্ব ডাক্তার অ্যালায়েন্স: 'ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অপরাধ'
'ডক্টরস ফর ইনফরমেশন' এবং 'ডক্টরস ফর ট্রুথ' বিশ্বব্যাপী একই ধরনের অনুশীলনকারীদের সঙ্গে 'ওয়ার্ল্ড ডক্টরস অ্যালায়েন্স' এ যোগ দিয়েছে। এই ঐতিহাসিক জোট বিশ্বজুড়ে এক লাখেরও বেশি চিকিৎসা পেশাজীবীদের সংযুক্ত করে। তারা প্রকাশ করে কিভাবে মহামারীটি ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অপরাধ, এবং এই দাবির জন্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেয়। এবং যেসব সরকার এই অপরাধমূলক অভিযানের সাথে খেলছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়।
বিশ্ব স্বাধীনতা অ্যালায়েন্স: আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ
একইভাবে, ওয়ার্ল্ড ফ্রিডম অ্যালায়েন্স গঠিত হয়েছিল - আইনজীবী, মেডিকেল বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং অন্যান্য অনেক পেশাজীবীদের একটি নেটওয়ার্ক যারা 'কোভিড ক্রাইম' প্রকাশের জন্য একসাথে কাজ করছে, এবং যারা স্বাধীনতার একটি নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে শুরু করেছে। তারা নিশ্চিত করতে চায় যে এই ধরণের বিশ্বব্যাপী কেলেঙ্কারি, যা লক্ষ লক্ষ জীবন ধ্বংস করে, তা যেন আর কখনও ঘটতে না পারে।
তারা কী জানেন?
বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা কেন বলছেন যে মহামারীটি একটি 'বিশ্বব্যাপী অপরাধ'? তারা কী জানেন যা আমরা জানি না? আসুন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য দেখা যাক...
২০১৭ এবং ২০১৮ সালে লক্ষ লক্ষ কোভিড -১৯ এর টেস্ট কিট বিক্রি হয়েছে
নতুন কোভিড -১৯ রোগটি ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে আবির্ভূত হয়েছিল। এজন্যই এর নামকরণ করা হয়েছে কোভিড -১৯ যা করোনা ভাইরাস রোগ ২০১৯ এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়ার্ল্ড ইন্টিগ্রেটেড ট্রেড সলিউশনের ডেটা অবশ্য আশ্চর্যজনক কিছু দেখায়:
২০১৭ এবং ২০১৮ সালে, কোভিড -১৯ এর দুই বছর আগে-বিশ্বব্যাপী কোভিড -১৯ এর জন্য সমগ্র বিশ্বেে লক্ষ লক্ষ পিসিআর টেস্ট কিট বিতরণ করা হয়েছিল!
কয়েক সেকেন্ডের জন্য একটু চিন্তা করুন: আক্ষরিক অর্থে, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ কোভিড-১৯ এর টেস্ট কিট রপ্তানি ও আমদানি করা হয়েছিল। শত শত লক্ষ!
'দ্রুত! সব লুকাও!'
এই বিভ্রান্তিকর তথ্য ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ একজন আবিষ্কার করেছিলেন, যিনি এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এটি সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়েছিল। পরের দিন, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০ এ WITS হঠাৎ করে আসল লেভেল 'কোভিড -১৯' কে অস্পষ্ট একটি নাম 'মেডিকেল টেস্ট কিটস্ ' এ পরিবর্তন করে। যা-ইহোক, তারা একটি বিবরণ মুছে দিতে ভুলে গেছে: ওয়েবপেজের নীচে এখনও এই 'মেডিকেল টেস্ট কিট' এর পণ্য কোড দেখানো হয়েছে: ৩০০২১৫ যার অর্থ হচ্ছে 'কোভিড -১৯ টেস্ট কিট '।
কয়েক সপ্তাহ পরে, HS কোডটিও WITS দ্বারা 'মেডিকেল টেস্ট কিট' এ পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু তাদের কভার-আপ অনেক দেরিতে এসেছে: এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মোচিত হয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ লোক এটি প্রকাশ করছে। আপনি এটি ওয়েব আর্কাইভে দেখতে পারবেন।
কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবের দুই বছর আগে, বিশ্বজুড়ে দেশগুলি কোভিড -১৯ এর জন্য লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার যন্ত্র রপ্তানি শুরু করে।
এই আবিষ্কারকে অস্বীকার করার জন্য যে যুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তা হল 'কোভিড -১৯' লেবেলটি শুধুমাত্র ২০২০ সালে যোগ করা হয়েছিল। তবে তা মিথ্যা, কারণ এই টেস্ট কিটগুলোর জন্য প্রোডাক্ট কোড হল 'কোভিড -১৯ টেস্ট কিট'।
এটি এই সত্যকেও পরিবর্তন করে না যে মহামারীর দুই বছর আগে, হঠাৎ করে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ লক্ষ লক্ষ মেডিকেল টেস্ট কিট বিতরণ শুরু করে যা বিশেষভাবে কোভিড -১৯ এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
এমনকি কোভিড -১৯ লেবেল ছাড়াও, এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং অদ্ভুত যে সমগ্র বিশ্ব হঠাৎ করে কয়েক মিলিয়ন মেডিকেল টেস্ট কিট আমদানি ও রপ্তানি করেছে।
তারা কি জানত? তারা কিসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল?
গণ বিতরণ
বিশ্বব্যাপী মহামারী আঘাত হানার ঠিক আগে কেন সমগ্র বিশ্ব লক্ষ লক্ষ মেডিকেল টেস্ট কিটের গণ বিতরণ শুরু করেছিল?
২০১৭ সালে, ফাউচি পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে একটি মহামারী নিশ্চিত করেছিলেন!
অ্যান্থনি ফাউচি
২০১৭ সালে, অ্যান্থনি ফাউচি নিশ্চিতভাবে একটি খুব অদ্ভুত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে, ফাউচি নিশ্চিত করেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, সংক্রামক রোগের একটি বিস্ময়কর প্রাদুর্ভাব ঘটবে। তিনি বলেছিলেন:
কোন প্রশ্ন নেই সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে আসন্ন প্রশাসনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
একটি বিস্ময়কর মহামারী ঘটবে। এই বিষয়ে কারো মনে কোন সন্দেহ নেই।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে ফাউচি কীভাবে একটি বিস্ময়কর প্রাদুর্ভাব ঘটানার গ্যারান্টি দিলেন? তিনি কি জানেন যা আমরা জানি না?
অ্যান্থনি ফাউচি
'আগামী দু'বছরের মধ্যে একটি বিস্ময়কর মহামারী হবে। এ নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই। ' - অ্যান্থনি ফাউচি
বিল এবং মেলিন্ডা গেটস্ও একটি আসন্ন বিশ্বব্যাপী মহামারী নিশ্চিত করেছিলেন
২০১৮ সালে বিল গেটস্ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন যে একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী আসছে, যা ৩০ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করতে পারবে। তিনি বলেছিলেন যে এটি সম্ভবত পরবর্তী দশকে ঘটবে।
মেলিন্ডা গেটস্ যোগ করেছেন যে একটি তৈরি করা ভাইরাস মানবতার সবচেয়ে বড় হুমকি, এবং এটাও আশ্বস্ত করেছেন যে এটি আগামী বছরগুলিতে মানুষের উপর আঘাত আনবে।
কিছুক্ষনের জন্য কথাগুলো একটু ভেবে দেখুন।
বিল গেটস্
একটি বিশ্বব্যাপীমহামারীআসছে। একটি তৈরি করাভাইরাস মানবতার সবচেয়ে বড় হুমকি। এটি পরবর্তী দশকে হবে। - বিল এবং মেলিন্ডা গেটস্
মহামারীর জন্য প্রস্তুতি
ইভেন্ট ২০১ - মহামারীর জন্য প্রস্তুতি
বিল গেটস্ বিশ্বের এক নম্বর ভ্যাকসিন ডিলার, যিনি সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ দ্বিগুণ করে ১০০ বিলিয়নে পৌঁছেছেন। তিনি বলেছিলেন যে এটি তার সর্বকালের সেরা ব্যবসায়িক বিনিয়োগ। প্রাদুর্ভাবের কয়েক মাস আগে, বিল গেটস্ নিউইয়র্ক সিটিতে ইভেন্ট ২০১ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। অনুমান করুন ঘটনাটি কী ছিল? এটি ছিল একটি 'করোনাভাইরাস মহামারীর ড্রিল'।
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন: করোনাভাইরাস মহামারী হওয়ার ঠিক আগে বিল গেটস্ একটি করোনাভাইরাস মহামারীর ড্রিল আয়োজন করেছিলেন! নিচের ভিডিওটি দেখুন
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী হওয়ার ঠিক আগে, বিল গেটস্ একটি বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য প্রস্তুতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
আগামী বছরে ভ্যাকসিন বিক্রির ব্যাপারে উত্তেজনা
এই 'করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য ড্রিল' করার কিছুক্ষণ পরে, বিল গেটস্ টুইট করেছিলেন:
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের অন্যতম সেরা কেনাকাটার জন্য পরবর্তী বছরটির অর্থ কী হতে পারে তা নিয়ে আমি বিশেষভাবে উৎকণ্ঠিত: টিকা!
এক মুহুর্তের জন্য চিন্তা করুন: বিশ্বের এক নম্বর ভ্যাকসিন বিক্রেতা আগামী কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী মহামারী হওয়ার গ্যারান্টি দেন এবং তার স্ত্রী বলেছিলেন যে আমাদের সবারই একটি ইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাসকে ভয় করা উচিত যা আসছে। তারপরে তারা আসন্ন বিশ্বব্যাপী মহামারীর জন্য একটি ড্রিল এর ও আয়োজন করেন এবং বলেন যে টিকাই একমাত্র সমাধান। পরবর্তীতে... বিল গেটস টুইট করেন যে তিনি পরের বছরে ভ্যাকসিন বিক্রি নিয়ে কতটা উৎকণ্ঠিত। এর পরপরই, ঘোষণা দেওয়া হয় যে বিশ্বে এক মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে।
এবং প্রকৃতপক্ষে, অবিলম্বে বিল গেটস্ ঘোষণা করেন যে মানবতার একমাত্র সমাধান হল তার টিকা কেনা ...
২০২০ সালের করোনাভাইরাস মহামারীরটি ২০১৩ সালে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল
পরবর্তী তথ্যটি বিশেষভাবে আকর্ষণীয় কারণ এটি দেখায় যে কতগুলি তথ্য পাওয়া যায়, যারা গবেষণা করার সাহস করে তাদের জন্য। ২০১৩ সালে, Dr. Creep নামের একজন সংগীত শিল্পী Pandemic (মহামারী) নামক একটি র্যাপ গান লিখেছিলেন, যা বিশেষ কিছু নয়, কিন্তু তার গানে লেখা আছে:
'২০২০ করোনাভাইরাসের সাথে মিলিত, লাশের স্তূপ।'
এটা কিভাবে সম্ভব যে একজন অজানা সঙ্গীতশিল্পী করোনাভাইরাস মহামারী হওয়ার সাড়েড়েড়েত বছর আগে সঠিকভাবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন?
এই গানটি এই মহামারী চলাকালীন আমেরিকা জুড়ে যে দাঙ্গা হয়েছিল তার পূর্বাভাস দিয়েছে:
রাজ্য দাঙ্গা করছে, বাইরে রাস্তা ব্যবহার করে। এটা তোমার জানালায় আসছে। '
আবার: ২০১৩ সালে একজন শিল্পী কীভাবে জানতে পারলেন যে ২০২০ সালে একটি করোনাভাইরাস পৃথিবীতে আসবে এবং তারপরে ব্যাপক দাঙ্গা হবে? তার উত্তর দারুণঃ
"আমি ২০১২ সালে গবেষণা করেছিলাম এবং "ষড়যন্ত্র তত্ত্ব" পড়েছিলাম। আপনারা জানেন, গণমাধ্যম সেসব তদন্ত আমাদেরকে দেখাতে চায় না। সেই তত্ত্ব অনুসারে, ২০২০ - ২০৩০ এর দশকে মহামারী হওয়ার কথা ছিল।"
বুঝলেন তো? এই লোকটি সাধারণত 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' হিসাবে যাকে বলা হয় তা নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। যে জিনিসগুলিকে 'অর্থহীন' হিসাবে উপেক্ষা করার জন্য আমাদেরকে সমাজ ও গণমাধ্যম প্রোগ্রাম করেছে। কিন্তু বাস্তবে সেই তদন্তগুলি সর্বদা এত অনর্থক নয়, কারণ তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ঠিক ২০২০ সালে এই মহামারী এবং দাঙ্গা হবে।
আমরা গবেষণা শুরু করলে আর কী আবিষ্কার করবো? আরো জানতে চাইলে পড়তে থাকুন ...
"বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য প্রস্তুত হোন"
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে - প্রাদুর্ভাবের ঠিক আগে - গ্লোবাল প্রিপার্ডনেস মনিটরিং বোর্ড 'এ ওয়ার্ল্ড এট রিস্ক' শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে।
এটি একটি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়!
প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্ঠায় করোনাভাইরাস এবং মুখোশ (মাস্ক) পরা মানুষের ছবি।
প্রতিবেদনে আমরা নিম্নলিখিত আকর্ষণীয় অনুচ্ছেদটি পড়েছি:
"জাতিসংঘ (ডব্লিউ.এইচ.ও সহ) কমপক্ষে দুটি সিস্টেম-ব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং সিমুলেশন অনুশীলন পরিচালনা করে। তাদের মধ্যে একটি ছিল প্রাণঘাতী শ্বাসযন্ত্রের রোগজীবাণুকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়ার সিমুলেশন।"
আপনি কি শেষ অংশটি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন?
চীন থেকে প্রাদুর্ভাব ঘোষণা
২০১৮ সালে, ইনস্টিটিউট ফর ডিজিজ মডেলিং একটি ভিডিও তৈরি করে যাতে তারা ফ্লু ভাইরাস দেখায় - (যা একটি করোনাভাইরাস) - যা চীনের উহান এলাকা থেকে শুরু হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে। তারা এটির নাম দিয়েছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ফ্লু মহামারীর জন্য একটি সিমুলেশন।’ ঠিক দুই বছর পর, তাই ঘটেছে।
উহান থেকে ভাইরাস
তারা কীভাবে জানত যে একটি বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী হবে, যা চীনের উহান এলাকায় শুরু হবে? এটা ঘটার আগে তারা কিভাবে সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণীটি করলো?
এই করোনাভাইরাসটি কি তৈরি করা হয়েছিল?
ভাইরাসটি কোথা থেকে এসেছে? জৈব অস্ত্রশস্ত্রে বিশ্বের অন্যতম বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডঃ ফ্রান্সিস বয়েল। তিনি নিশ্চিত যে এটির উৎপত্তি উহানের একটি বায়োওয়েপন ল্যাব থেকে - বায়ো-সেফটি ল্যাব লেভেল ৪।
এই বিভাগটি করোনাভাইরাস তৈরিতে বিশেষজ্ঞ!
তারা বিদ্যমান ভাইরাসগুলিকে অস্ত্র সজ্জিত করার জন্য কাজ করে, অর্থাৎ তারা সেগুলোকে আরো বেশি বিপজ্জনক করে তোলে, জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
নিচের ভিডিও ক্লিপে বায়োওয়েপন বিশেষজ্ঞ ডঃ ফ্রান্সিস বয়েল বলেছেন কিভাবে উহানের ল্যাব থেকে এই ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখন মজার অংশটিতে আসা যাক: ২০১৫ সালে অ্যান্থনি ফাউচি এই ল্যাবটিকে ৩.৭ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন।
বিষয়টি একটু চিন্তা করুন: যে ব্যক্তি নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন যে, দুই বছর পরে একটি ভাইরাস বিশ্বে আসবে, সেই একই ব্যক্তি অস্ত্রযুক্ত করোনাভাইরাস তৈরিতে বিশেষজ্ঞ একটি ল্যাবকে প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন।
নীচের সংক্ষিপ্ত ক্লিপে, আপনি দেখতে পারবেন একজন সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফাউচির উহান ল্যাবে প্রদত্ত এই অনুদান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন।
বেশ কয়েকটি সিনেমা করোনাভাইরাস মহামারীর পূর্বাভাস দিয়েছে
ভবিষ্যদ্বাণীমূলক প্রোগ্রামিং হল শীঘ্রই ঘটতে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার প্রক্রিয়া। গত কয়েক বছরে, একটি বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে বেশ কয়েকটি সিনেমা এবং টেলিভিশন সিরিজ তৈরি করা হয়েছে!
'ডেড প্লেগ' চলচ্চিত্রটি করোনাভাইরাস সহ একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী চিত্রিত করে, এমনকি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকেও এর প্রতিকার হিসেবে উল্লেখ করে।
'কনটেজিয়ন' নামে আরেকটি চলচ্চিত্র দেখায় কিভাবে একটি করোনাভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে - চলচ্চিত্রটিতে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক, লকডাউন, হাত ধোয়া, ইত্যাদি দেখানো হয়।
আক্ষরিক অর্থে, আমরা এখন যা দেখছি তা এই সিনেমাগুলিতে বিস্তারিতভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি কমিক বই বিশ্বব্যাপী মহামারী তুলে ধরেছে
২০১২ সালে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের কর্মীদের মধ্যে বিতরণের জন্য একটি অদ্ভুত কমিক বই তৈরি করেছিল। কমিকের শিরোনাম ছিল 'ইন্ফেকটেড', এবং এটি একটি নতুন ভাইরাস দেখায় যা একটি চীনা ল্যাবে উদ্ভূত এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারীটির সমাধান কমিক বইয়ে বর্ণিত হয়েছে: বিশ্বনেতারা একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পরিকল্পনা প্রয়োগ করে। এর অর্থ:
আর চিকিৎসার স্বাধীনতা নেই, কিন্তু বিশ্বনেতাদের সত্তা দ্বারা চিকিৎসার স্বৈরাশাসন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মচারীদের কাছে প্রকাশিত এই কমিক বইয়ের বার্তা এটি। কমিক বইয়ের একটি উদ্ধৃতি লিখা আছেঃ
'পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের অস্তিত্বকে সম্পূর্ণ অসহনীয় করে তুলেছে।'
২০১২ সালে অলিম্পিক গ্রীষ্মকালীন গেমের সময় মহামারীটি তুলে ধরা হয়েছিল
২০১২ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময়, একটি করোনাভাইরাস মহামারী সমগ্র বিশ্বের চোখের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ডজনখানেক হাসপাতালের বিছানা, বিপুল সংখ্যক নার্স নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার পুতুল হয়ে উঠছে, মৃত্যু ঘুরছে আসে পাশে, সারা পৃথিবীতে একটি পৈশাচিক দৈত্য উঠে আসছে এবং পুরো থিয়েটারকে এমনভাবে আলোকিত করা হয়েছে যে, আকাশ থেকে দেখলে মনে হবে একটি করোনাভাইরাস।
অলিম্পিক গেমস্ তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কেন একটি করোনাভাইরাস মহামারী দেখিয়েছিল?
অলিম্পিক গেমস্ ২০১২ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এর অংশটি নিচে দেওয়া হলো!
২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী লকডাউনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল
লেখক এবং তদন্তকারী রবিন ডি রুইটার ২০০৮ সালে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ভবিষ্যতে একটি বিশ্বব্যাপী লকডাউন আসবে।
তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য হবে কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণের একটি নতুন বিশ্ব তৈরি করা।
যেহেতু ২০০৮ সালে তিনি যা লিখেছিলেন তার বেশিরভাগই এখন আমাদের চোখের সামনে ঘটছে, এই বইটি পুনরায় প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৪ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিক হ্যারি ভক্স একটি পরিকল্পিত বিশ্বব্যাপী মহামারী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে 'শাসক শ্রেণী' কেন এমন কাজ করবে:
'তারা তাদের নিয়ন্ত্রণের টুলকিট সম্পূর্ণ করতে কিছুতেই থামবে না। তাদের টুলকিট থেকে যে জিনিসগুলি অনুপস্থিত ছিল তার মধ্যে একটি হলো কোয়ারেন্টাইন এবং কারফিউ। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সংক্রমিত করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা। 'অলিম্পিক গেমস্ তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কেন একটি করোনাভাইরাস মহামারী দেখিয়েছিল?অলিম্পিক গেমস্ তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কেন একটি করোনাভাইরাস মহামারী দেখিয়েছিল?
হ্যারি ভক্স
তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সংক্রমিত করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা। - হ্যারি ভক্স, বিখ্যাত ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট
'ভবিষ্যতের পরিকল্পনা' একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী বর্ণনা করে
এই বিখ্যাত গবেষক রকেফেলার ফাউন্ডেশনের একটি বিখ্যাত দলিল দেখায় যেখানে আমরা এখন যা ঘটছে তা সবই আক্ষরিক অর্থে বিস্তারিতভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে: বিশ্বব্যাপী মহামারী, লকডাউন, অর্থনীতির পতন এবং কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণ।
এই সবই ভয়ঙ্কর নির্ভুলতার সাথে বর্ণনা করা হয়েছে ...দশ বছর আগে থেকে।
এই দলিলটির নাম হচ্ছে "ভবিষ্যত প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা" এটি সব বলে: ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃশ্য। এটিতে 'লকস্টেপ' নামে একটি অধ্যায় রয়েছে, যেখানে একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী এমন করে রিপোর্ট করা হয়েছে যেন এটি অতীতে ঘটেছিল, কিন্তু যা স্পষ্টভাবে ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা।
২০১০ সালে রকাফেলার ফাউন্ডেশনয়ের লিখা 'ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃশ্য' বইটিতে - ২০২০ সালের মহামারীটি ভয়াবহভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
'ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃশ্য' দলিলটি তাদের ভবিষ্যদ্বাণী করা মহামারীর দুটি ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার তুলনা করে অব্যাহত রয়েছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবলমাত্র মানুষকে বিমানে উড়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করেছে, অন্যদিকে চীন সকল নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক কুয়ারিনটাইন প্রয়োগ করেছে। প্রথম প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে আরও বেশি করে ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর লক-ডাউনকে প্রশংসিত করা হয়েছে। তারপর এটি সর্বগ্রাসী নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নের বর্ণনা দেয়।
মহামারীর সময়ে, বিশ্বজুড়ে জাতীয় নেতারা তাদের কর্তৃত্ব ব্যবহার করেছিলেন ও কঠোর নিয়ম এবং বিধিনিষেধ ধার্য করেছিলেন। ট্রেন স্টেশন এবং সুপার মার্কেটের মতো সাম্প্রদায়িক স্থানগুলিতে প্রবেশের সময় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা থেকে শুরু করে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
স্পষ্টই, 'ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃশ্য' অনুসারে এইসব কর্তৃপক্ষের কাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া। কিন্তু তার পর কি হবে সে বিষয়ে এই দলিলে এমন উল্লেখ রয়েছে।
'মহামারী ম্লান হওয়ার পরেও, নাগরিকদের এই অধিক কর্তৃত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান এবং কার্যক্রম পরিবর্তন হয়নি বরং আরও তীব্র হয়েছে।'
'উন্নত দেশগুলিতে, এই করা নিয়ন্ত্রণ অনেক রূপ নেয়: উদাহরণস্বরূপ, সকল নাগরিকের জন্য বায়োমেট্রিক আইডি এবং প্রধান শিল্পগুলির কঠোর নিয়ন্ত্রণ, যাদের স্থিতিশীলতা জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।'
রকেফেলার ফাউন্ডেশনের মতে, একটি বিশ্বব্যাপী মহামারীর ফলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে, যেখানে মানুষ আবার নিরাপদ বোধ করার জন্য আনন্দের সাথে তাদের স্বাধীনতা সমর্পণ করে।
বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশাবলী
এখন যেহেতু ঘোষিত মহামারীটি এসেছে, একই রকেফেলার ফাউন্ডেশন দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে এগিয়ে এসেছে: এই মহামারীর সময় কীভাবে নতুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা যায় সে সম্পর্কে একটি হ্যান্ডবুক প্রকাশ করেছে। বইটি উল্লেখ করে যে শুধুমাত্র যখন সমস্ত প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ নেটওয়ার্কগুলি স্থাপন করা হবে, তখন পৃথিবী আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে।
যখন আপনি দুটি রকেফেলার দলিলগুলো একত্রিত করেন, তখন আপনি পরিকল্পনাটি দেখতে পাবেনঃ
১) প্রথমে তারা করোনাভাইরাস দিয়ে একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষণা করে এবং বলে যে এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন স্তরের কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণের দিকে পরিচালিত হবে।
২) দ্বিতীয়ত তারা কিভাবে এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হয় সে বিষয়ে বাস্তব পদক্ষেপ দেয়।
এগুলি তাদের বই থেকে নেওয়া চিত্র এবং উদ্ধৃতিঃ
ডিজিটাল অ্যাপস্ এবং গোপনীয়তা-সুরক্ষিত ট্র্যাকিং সফ্টওয়্যার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা উচিত যাতে আরো সম্পূর্ণ যোগাযোগ ট্র্যাকিং সক্ষম হয়। '
'কোভিড -১৯ মহামারীটি পুরোপুরি ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, আমাদের সাপ্তাহিক ভিত্তিতে অধিকাংশ জনসংখ্যাকে পরীক্ষা করতে হবে।'
তাদের 'ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃশ্য' দলিল অনুসারে, সমগ্র বিশ্বের জনসংখ্যার একটি ডিজিটাল আইডি পাওয়া উচিত যা দেখায় কে সমস্ত টিকা নিয়েছে। পর্যাপ্ত টিকা ছাড়া স্কুল, কনসার্ট, গীর্জা, গণপরিবহন ইত্যাদিতে প্রবেশ নিষেধ করা হবে।
এবং এখন, ২০২০ সালে, বিল গেটস্ এবং অনেক সরকার এটি বাস্তবায়ন করার জন্য পরিকল্পনা করছে।
প্রত্যেকের পরিচিতি যাচাই করতে হবে
একটি ফাঁস হওয়া সরকারি ভিডিওতে আমরা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোর মধ্যে কথোপকথন দেখতে পাই। তারা সমগ্র জনসংখ্যার পরীক্ষা এবং তাদের সমস্ত পরিচিতি পরীক্ষা করার জন্য একটি বড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কিভাবে স্থাপন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে। তারা এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালানোর জন্য কিভাবে একটি সেনাবাহিনী তৈরি করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করে।
অ্যান্ড্রু কুওমো, নিউ ইয়র্কের গভর্নর
'শত শত নিয়ন্ত্রণ এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে। তারা প্রত্যেককে পরীক্ষা করবে এবং তাদের সমস্ত পরিচিত মানুষদের পরীক্ষা করবে। এইরকম বড় ভাবে এটি আগে কখনও করা হয়নি। এটি জিজ্ঞাসাবাদের একটি সেনাবাহিনী যারা সবার পরিচিতি পরীক্ষা করবে। ' - অ্যান্ড্রু কুওমো, নিউ ইয়র্কের গভর্নর
বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ নতুন পদক্ষেপ
বিল গেটস্ এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে শুধুমাত্র কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ভ্রমণ, স্কুলে যাওয়া, সভায় যোগদান এবং কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত। ডিজিটাল ভ্যাকসিন আইডি ইতিমধ্যেই তৈরি করা হচ্ছে এবং গেটস প্রযুক্তির একটি পেটেন্ট রয়েছে যার ফলে যে কোনও ব্যক্তির দেহকে যে কোনও জায়গায় ট্র্যাক করা সম্ভব। এই প্রযুক্তিকে WO2020-060606 বলা হয়। এছাড়াও, গেটস্ একটি বিশ্বব্যাপী পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে চান, যা কোভিড -১৯ এর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে ট্র্যাক করবে।
আপনার শরীরকে মনুষ্যনির্মিত বুদ্ধিমত্তার (এ.আই.) সাথে সংযুক্ত করা
বিগ টেক এবং বিগ ফার্মা আমাদের সবাইকে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করতে চায় যা আমাদের সবসময়, ২৪ ঘণ্টা জরিপ করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে আমরা স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারি কি না। এটিকে মাথায় রেখে, ২০১৫ থেকে একটি বিশেষ আবিষ্কার উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।
২০১৫ সালে রিচার্ড রথস্চাইল্ড একটি 'কোভিড -১৯ পরীক্ষার জন্য পদ্ধতি' আবিষ্কার করেছিলেন। পদ্ধতিটি আমাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের তথ্য 'ক্লাউডে বা অন-লাইনে' পাঠানো নিয়ে গঠিত, যা বিগ টেক এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
রিচার্ড রথস্চাইল্ড একজন মেডিকেল প্রফেশনাল নন, কিন্তু তিনি একজন আইনজীবী। একজন আইনজীবী কেন ভাইরাস সনাক্ত করার পদ্ধতি তৈরি করতে চান? আমরা তার অন্যান্য আবিস্কার দেখে উত্তর খুঁজে পাই। তিনি একটি সিস্টেম তৈরি করেছিলেন যেখানে মানুষকে তাদের মুখ, দেহ, চলাফেরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ফিল্ম করা হচ্ছে।
এই ভিডিও ডেটা তারপর অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে যুগ দেওয়া হয়, এবং ক্লাউডে/অনলাইনে পাঠানো হয়, যেখানে এটি মনুষ্যনির্মিত বুদ্ধিমত্তার (এ.আই.) সাথে সংযুক্ত করা হয়।
যদি আমাদের সমস্ত ব্যক্তিগত চিকিৎসা ডেটা 'ক্লাউডে/অনলাইনে' থাকে, তাহলে কর্তৃপক্ষ আমাদের নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারবে।
পরিকল্পনা: ডি.এন.এ পরিবর্তনকারী ভ্যাকসিন দিয়ে মানবজাতিকে ইনজেকশন দেওয়া
বিখ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক অ্যান্থনি প্যাচ তৈরি মহামারী এবং বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা নিয়ে বহু বছর গবেষণা করেছেন। ২০১৪ সালে একটি সাক্ষাৎকারের সময়, এই গবেষক নিম্নলিখিত ভবিষ্যদ্বাণীটি করেছিলেন:
'তারা একটি মানবসৃষ্ট করোনাভাইরাস জগতে ছেড়ে দিবে। ফলস্বরূপ, মানুষ তাদের সুরক্ষার জন্য একটি ভ্যাকসিন দাবি করবে। এই ভ্যাকসিনটি একজন ব্যক্তির শরীরে ডি.এন.এ সঙ্গে এক তৃতীয় প্রজাতি যোগ করবে, যা মূলত তাকে একটি হাইব্রিড করে তুলবে। একবার একজন ব্যক্তিকে ইনজেকশন দেওয়া হলে, প্রায় অবিলম্বে তার ডি.এন.এ রূপান্তরিত হয়। এই জেনেটিক পরিবর্তনের ফলে মানুষ নিজের জন্য চিন্তা করার ক্ষমতা হারাবে, এমনকি তারা জানতেও পারবে না এটি ঘটেছে। এভাবে তারা অনেক সহজেই নিয়ন্ত্রিত হবে ও অভিজাতদের দাস হয়ে উঠবে। '
অবশ্যই, এটি অসম্ভব ও অদ্ভুত বলে মনে হয় - এবং এটি সত্যিই অদ্ভুত। তবুও আমাদের সচেতন হতে হবে যে এই পেশাদার তদন্তকারী বোকা নন। তিনি বহু বছর ধরে গবেষণা করেছেন এবং বছরের পর বছর ধরে তিনি এটি আবিষ্কার করেছেন।
আমাদের অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে যে, কেবলমাত্র এই বিষয়ে আমাদের নিজস্ব অন্তর্দৃষ্টির অভাবের কারণে, বছরের পর বছর গবেষণার উপর ভিত্তি করে সঠিক জ্ঞান প্রত্যাখ্যান করা উচিত না।
২০ বছরের গবেষণায় বলেঃ ভ্যাকসিন আমাদের ডি.এন.এ পরিবর্তন করবে
ডাক্তার ক্যারি ম্যাডে জর্জিয়ায় দুটি মেডিকেল ক্লিনিক পরিচালনা করেছেন এবং গত বিশ বছর ধরে ডি.এন.এ এবং টিকা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি একটি জরুরি ভিডিও তৈরি করেছেন যাতে তিনি সতর্ক করেছেন যে কোভিড -১৯ এর নামে অত্যন্ত বিপজ্জনক ভ্যাকসিন দিয়ে মানবজাতিকে ইনজেকশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই নতুন টিকাগুলির উদ্দেশ্য হোল:
১) আমাদের ডি.এন.এ পুনরায় প্রোগ্রাম করা এবং আমাদেরকে হাইব্রিডে পরিণীত করা, যেন আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
২) ডিজিটাল ভ্যাকসিন আইডির মাধ্যমে আমাদেরকে মনুষ্যনির্মিত বুদ্ধিমত্তার (এ.আই.) সাথে সংযুক্ত করা, যা নিয়ন্ত্রণের এক সম্পূর্ণ নতুন ক্ষেত্র খুলবে।
এই চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে তিনি একাধিকবার পর্যবেক্ষণ করেছেন কিভাবে বিমানের মাধ্যমে জনসংখ্যার উপর রোগ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার নিজের নিরাপত্তার কারণে, তিনি এই বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারছেন না।
টিকাগুলির বিপদ সম্পর্কে এই সমালোচনামূলক তথ্যচিত্রটি দেখুন:
সংগঠিত মহামারীর মাধ্যমে পৃথিবীকে জনবহুল করুন
ডাঃ জন কোলম্যান সি.আই.এ এর একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন যিনি 'দ্য কমিটি অফ ৩০০' নামে একটি বই লিখেছিলেন। বইটিতে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে গোপন সমাজ সরকাররা কিভাবে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য শিল্প, গণমাধ্যম ইত্যাদি গোপনে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই বইটি সি.আই.এ এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
সরকার এবং মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন অনেক গোপন সমাজের প্রাথমিক লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি হল পৃথিবীকে জনশূন্য করা।
ডাঃ কোলম্যান তাদের কৌশল সম্পর্কে নিম্নলিখিত বলেছেন:
ডাঃ জন কোলম্যান
সীমিত যুদ্ধ এবং মারাত্মক দ্রুত-কার্যকরী রোগের সংগঠিত মহামারীর মাধ্যমে ২০৫০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৪ বিলিয়ন "অকেজো ভক্ষক" কে ধ্বংস করা হবে।
- ডাঃ জন কোলম্যান, সি.আই.এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা
৫০০,০০০,০০০ এর নিচে জনসংখ্যা বজায় রাখুন
১৯৮০ সালে জর্জিয়ায় একটি গ্রানাইট স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছিল, যাকে গাইডস্টোন বলা হয়। কাঠামোর উপর আটটি আধুনিক ভাষায় ১০ টি নির্দেশিকা সেট করা আছে এবং চারটি প্রাচীন ভাষার লিপিতে কাঠামোর শীর্ষে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা লেখা আছে। প্রথম নির্দেশিকা নিম্নরূপ:
১) প্রকৃতির সাথে চিরস্থায়ী ভারসাম্যে জন্য ৫০০,০০০,০০০ এর নিচে জনসংখ্যা বজায় রাখুন।
সি.আই.এ অফিসার ডঃ কোলম্যান প্রকাশ করেছেন যে তাদের 'মানবতা বজায় রাখার' পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি হল 'মারাত্মক রোগের সংগঠিত মহামারী সৃষ্টি করা'।
জনসংখ্যা কমাতে ভ্যাকসিন ব্যবহার
একটি TED আলোচনার সময়, বিল গেটস্ এই লক্ষ্যের প্রতিধ্বনি করেছিলেন, যখন তিনি আক্ষরিক অর্থে বলেছিলেন যে বিশ্বের জনসংখ্যা ১০-১৫% কমানোর জন্য নতুন টিকা ব্যবহার করা যেতে পারে!
পৃথিবীতে এখন ৬.৭ বিলিয়ন মানুষ আছে এবং শীঘ্রই ৯ বিলিয়ন হবে। যদি আমরা নতুন ভ্যাকসিন, স্বাস্থ্যসেবা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের উপায় ব্যবহার করি তবে আমরা সেই সংখ্যা দশ থেকে পনের শতাংশ কমিয়ে আনতে পারবো।
- বিল গেটস্ , ভ্যাকসিন বিক্রেতা
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোভিড -১৯ টিকা?
মাইক অ্যাডামস একজন প্রকাশিত খাদ্য বিজ্ঞানী, জনপ্রিয় বিজ্ঞান বই ফুড ফরেনসিকের লেখক এবং ISO - স্বীকৃত CWC ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা। কয়েক বছর আগে তিনি এই কথাটি বলেছিলেন:
একটি ইঞ্জিনিয়ার্ড বায়োওয়েপন জনসংখ্যা কেন্দ্রে ছেড়ে দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন শিল্পের জন্য একটি ভ্যাকসিন নিয়ে আসার জন্য ব্যাপক সরকারি অর্থায়নের আহ্বান জানানো হবে। অলৌকিকভাবে সময়মতো ভ্যাকসিন তৈরি হবে। প্রত্যেককে লাইনে দাঁড়িয়ে এই ভ্যাকসিন নিতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে একটি ইঞ্জিনিয়ার্ড বায়োওয়েপন বিশ্বে উন্মুক্ত করা হয়েছে, তারপরে একটি ভ্যাকসিন ম্যান্ডেট ঘোষণা করা হয়েছে। ভ্যাকসিন শিল্পগুলো একটি ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য ব্যাপকভাবে সরকারী অর্থ ব্যবহার করেছে।
তার বাকী বার্তা হল এই টিকা ধীরে ধীরে কয়েক বছরের মধ্যে লক্ষ লক্ষ, এমনকি কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করবে। এটি হবে একটি কিল-সুইচ ভ্যাকসিন, যা বিশ্বের জনসংখ্যা কমানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এই সব কিছু ঘটার পূর্বেই সব ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল
উল্লেখ্য, এই মহামারীর প্রতিটি ভবিষ্যদ্বাণী ঘটার কয়েক বছর বা কয়েক মাস আগে থেকেই সব ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ধরনের একটি ঐতিহাসিক ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিলঃ চলচ্চিত্রে, টি.ভি শো তে, তদন্তকারীর মাধ্যমে, মেডিকেল ডাক্তারদের দ্বারা, যারা এই ভাইরাসগুলি তৈরি ল্যাবগুলিকে অর্থায়ন করে তাদের দ্বারা, যারা এই মহামারী থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করবে এবং যারা বিশ্বের সবাইকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন উপায় তৈরি করতে চায় - এই সবই দেখায় যে এই মহামারিটি পরিকল্পিত ছিল।
মহামারীটিকে যে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এমন কোন লক্ষণ আছে কি?
এখন পর্যন্ত আমরা এমন ইঙ্গিত পেয়েছি যে মহামারীটি আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যদি এটি সত্যিই পরিকল্পিত হয়, তবে মহামারী চলাকালীন সময়ে এই বিষয়টি প্রকাশ পাবে। একটি পরিকল্পিত মহামারী হলো একটি নিয়ন্ত্রিত মহামারী। আমরা কি সত্যিই লক্ষ্য করছি যে মহামারীটি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে? অবশ্যই! এই ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলি প্রকাশ করে যে আক্ষরিকভাবে প্রতিটি মেডিকেল, বৈজ্ঞানিক, সরকারী, শিক্ষামূলক এবং সাংবাদিকতার কণ্ঠস্বর যা মিডিয়ার প্রচার থেকে আলাদা, তা আক্রমণাত্মকভাবে ব্লক করা হচ্ছে।
মানবজাতির ইতিহাসে এর আগে কখনও বিশ্বব্যাপী চিকিৎসক, ডাক্তার এবং সম্মানিত বিজ্ঞানীদের এমন প্রহরতা হয়নি।
তা ছাড়া, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত সংখ্যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতারণা রয়েছে। আক্ষরিক অর্থে, কোভিড-১৯ সম্পর্কে প্রতিটি তথ্য মিথ্যা। বিশ্বব্যাপী মেডিকেল কর্মীরা স্বীকার করেছেন যে, তাদের প্রতিটি রোগীকে কোভিড রোগী হিসাবে নিবন্ধন করার জন্য এবং তাদের প্রতিটি মৃত্যুর - কারণ যাই হোক না কেন - কোভিড মৃত্যু হিসাবে নিবন্ধিত করার জন্য ব্যাপক চাপ দেওয়া হচ্ছে।
পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনার পেছনে কারা যুক্ত রয়েছে?
আমরা এমন একদল মানুষের কথা বলছি যাদেরকে 'গ্লোবালিস্ট' বলা হয়। তাহলে, এই গ্লোবালিস্টরা কারা? তারা বিশ্বব্যাপী ধনী, প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা একটি বিশ্বব্যাপী সরকার গঠনের জন্য পরিকল্পনা করছেন। এর মাধ্যমে তারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। তাদের ইচ্ছা হচ্ছে আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রঃ স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য, শিল্প, মিডিয়া, সরকার, ধর্ম, সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব করা।
পুরো বিশ্ব শাসন করার জন্য বিশ্বের ইতিহাস জুড়ে অনেক শক্তিশালী নেতাদের শয়তানি ইচ্ছা ছিল। রোম, গ্রেট ব্রিটেন, পারস্য, রাশিয়ানদের কুখ্যাত বিশ্ব সাম্রাজ্যের কথা একটু ভাবুন।
এই বিকৃত আবেগ মানবতার কলুষিত হৃদয় ছাড়েনি, কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের উপায় পরিবর্তিত হয়েছে। ট্যাঙ্ক এবং বাজুকাসহ দেশগুলোকে আক্রমণ করার পরিবর্তে তারা এখন ভয় ব্যবহার করে মানবতার দাসত্ব করছে। তারা যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি করার পর, তাদের তৈরি 'সমাধান' উপস্থাপন করতে পারে। তবে এই সমাধান হলো আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া এবং তাদের নিয়ন্ত্রণের আওতায় আমাদের জীবনকে সমর্পণ করা।
বিশ্বের প্রধান খেলোয়াড় হলো জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক এবং বিশেষ করে অনেক বেসরকারি ব্যাংক যেগুলো বিশ্বকে ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই দৃশ্যমান সত্তাগুলি কেবল একটি মুখোশ যা সত্যিকারের ক্ষমতাগুলিকে লুকিয়ে রাখে। এদের মধ্যে আছে অনেক 'সিক্রেট সোসাইটি'। এই বিশ্ববিদদের অনেকেই কিছুদিন আগে সুইজারল্যান্ডের দাভোস নামক একটি ছোট শহরে জড়ো হয়েছিলেন, যেখানে তারা প্রকাশ করেছিলেন কিভাবে মহামারীটি তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। তাদের দেওয়া কিছু বক্তব্য এখানে দেওয়া হল:
এখন সময়ের ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কেবল ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই নয়, কিন্তু সিস্টেম স্থাপন করার ও।
এই মহামারীটি আমাদের বিশ্বকে পুনরায় গঠন করার জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।
আমাদের সমাজ ও অর্থনীতির সকল দিক পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্বের সবাইকে যৌথভাবে এবং দ্রুত কাজ করতে হবে, শিক্ষাগত দিক থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ পর্যন্ত।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন পর্যন্ত প্রতিটি দেশকে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে এবং তেল ও গ্যাস থেকে কারিগরি পর্যন্ত প্রতিটি শিল্পকে অবশ্যই রূপান্তরিত করতে হবে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (WEF) তাদের সকল উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ‘চরকা’ তৈরি করেছে। এখানে আমরা তিনটি 'প্রকল্প' দেখতে পাচ্ছি: কোভিড -১৯, গ্লোবাল গভর্নেন্স এবং ইন্টারনেট গভর্নেন্স।
কোভিড -১৯ একটি গুরুত্বপূর্ন প্রকল্প যা পরবর্তী পদক্ষেপের পথ প্রস্তুত করে দেয়: বিশ্বব্যাপী সরকার! অদূর ভবিষ্যতে, তারা ইন্টারনেটের সম্পূর্ণ প্রহরতা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে: ইন্টারনেট সরকার।
এই সংগঠনগুলোকে কেউ চায় না
পৃথিবীতে একজন মানুষও এই সংগঠনগুলিকে অস্তিত্বের জন্য ভোট দেয়নি। তবুও তারা নিজেদেরকে আমাদের জীবন, পরিবার, সম্প্রদায়, চাকরি, স্বাস্থ্য, শিল্প ইত্যাদি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা নিজেদেরকে আমাদের 'বিশ্বনেতা' হিসেবে দাবি করছে ও আমাদের পুরো ভবিষ্যত পরিকল্পনা করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করেছে, আমরা কেউ কি তাদের কাউকে কখনো নির্বাচিত করেছি?
তারা মূলধারার মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্বৈরশাসন প্রয়োগ করছে, যেখানে তাদের 'বিশ্ব' সংস্থার নির্দেশনার সাথে মিলে কথা বা কাজ না করলে, মেডিকাল বা বৈজ্ঞানিক দক্ষতার কোন প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ফেসবুক, ইউটিউব এবং টুইটারের মাধ্যমে সারা বিশ্বে হাজার হাজার চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীদেরকে সেন্সর (ব্লক) করা হয়েছে। কেন? কারণ এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টরা বলে যে শুধুমাত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যা বলে তাই সত্য। এটি বিশ্ববাদীদের দ্বারা বিশ্ব স্বৈরশাসনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। তারা তাদের নিজস্ব 'বিশ্ব' প্রতিষ্ঠানগুলি ইনস্টল করে - কিন্তু আমাদের উপর তাদের কোন কর্তৃত্ব নেই। যেহেতু তারা নিজেদেরকে 'বিশ্ব' নেতা বলে, সেহেতু তারা সমস্ত বিশ্বের মানুষের উপর কর্তৃত্ব (অনুমান) করে।
সামগ্রিকভাবে মানবজাতিকে অবশ্যই 'বিশ্ব' স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সমর্পন করতে হবে, তারা কখনও আমাদের মতামত জিজ্ঞাসা করে না এমনকি অন্যান্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শও নেয় না। প্রকৃতপক্ষে, যে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ তাদের ('বিশ্ব' স্বাস্থ্য সংস্থার) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বললে, তাকে সেন্সর (ব্লক) করা হয়।
এর অর্থ চিকিৎসার স্বাধীনতা হারানো, বাক্স্বাধীনতা হারানো, সত্যিকারের বিজ্ঞান হারানো, সত্যিকারের সাংবাদিকতা হারানো এবং যেসব সংগঠনকে কেউ ভোট দেয়নি, যাদের নেতৃত্ব কেউ চায়নি তাদের নেতৃত্ব দেওয়া। শুধু তাই নয়, তারা আমাদের সমগ্র বিশ্বের মালিকানা দখল করে।
এরা খেলার মাঠের সেই বড়, মোটা, নিষ্ঠুর মাস্তান। যারা সবার উপরে বসের ভূমিকা পালন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন সন্ত্রাসী দ্বারা পরিচালিত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ছিলেন ইথিওপিয়ার একটি সহিংস বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য: টাইগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট [টি.পি.এল.এফ]। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ পরিষ্কারভাবে বলে:
"টি.পি.এল.এফ তার সহিংস কার্যকলাপের ভিত্তিতে তৃতীয় স্তরের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে..."
বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশক আক্ষরিক অর্থেই একজন কমিউনিস্ট সন্ত্রাসী, যিনি ইথিওপিয়ায় সাম্যবাদ চাপিয়ে দেওয়ার সাথে জড়িত ছিলেন। সেই ব্যক্তিটি এখন সমগ্র বিশ্বকে হুমকি দিচ্ছে, আমাদের সবাইকে বলছে যে আমরা কি করতে পারি এবং কি করতে পারি না, প্রত্যেক মেডিকেল পেশাদার, যাদের ভিন্ন মত আছে, তাদেরকে সেন্সর (ব্লক) করছে। সমস্ত মানুষের কাছ থেকে অন্ধ বাধ্যতা দাবি করছে, এবং তাদের এক নম্বর আর্থিক স্পন্সর, বিল গেটস্ এর কাছ থেকে টিকা নেওয়ার জন্য বিশ্বের সবাইকে আদেশ করা হচ্ছে।
আপনি কি এখন থেকে এমন একটি পৃথিবীতে বাস করতে চান?
মানবজাতি নিজেদেরকে সমর্পন না করা পর্যন্ত মহামারি বাড়তেই থাকবে
এই বিশ্ববাদীরা জগতের মানুষকে আরও বেশি ভোগাবে যদি আমরা তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের কাছে সমর্পিত না হই। প্রিন্স চার্লস কিছুদিন আগে বিশ্ববাদীদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন এবং প্রকাশ্যে বলেছেন:
আমরা যদি এখনই 'গ্রেট রিসেট' না করি তবে আরও অনেক বেশি মহামারী দেখা দিবে।
বিল গেটস্ ইতিমধ্যেই এই মহামারিটিকে 'মহামারী এক' বলেন এবং 'মহামারী দুই এবং তিন' সম্পর্কেও কথা বলছেন। ২০১৩ সালে যে তদন্তকারী ভবিষৎবাণী করেছিলেন যে ২০২০ সালে একটি করোনাভাইরাস মহামারী হবে এবং পরে দাঙ্গাও হবে, তিনি এও বলেছিলেন যে ২০২০-২০৩০ এর মধ্যে আরো অনেক মহামারী সৃষ্টি করার পরিকল্পনা আছে।
বিশ্বকে একটি বড় কারাগারে পরিণত করার জন্য এই দশকটিকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
গ্লোবালিস্টরা মানবতার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য যতটা মহামারী প্রয়োজন ততটা মহামারী সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করছে, যতক্ষণ না বিশ্বের সবাই তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের কাছে সমর্পিত না হয়। ভ্যাকসিনগুলি বাধ্যতামূলক করা তাদের পরিকল্পনার চাবিকাঠি। কারণ ভ্যাকসিনগুলি আমাদেরকে সম্পূর্ণ ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত করবে। শুধুমাত্র টিকা দেওয়া ব্যক্তিরা মুক্ত ভাবে চলাফেরা করতে পারবে।
আপনি কি বুঝতে শুরু করেছেন যে জার্মানির ৭০০ জনেরও বেশি ডাক্তার, স্পেনের ৬০০ জন ডাক্তার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ এবং সারা বিশ্বে আরও অনেকে এই মহামারীটিকে কেন একটি 'বিশ্বব্যাপী' অপরাধ বলছেন?
রোমান ক্যাথলিক চার্চের একজন আর্চবিশপ এবং বেশ কয়েকজন কার্ডিনাল এই জগতের মানুষের প্রতি একটি চিঠি লিখেছেন, যেখানে কোভিড-১৯ এর ছদ্মবেশে আমাদের বিশ্বব্যাপী স্বৈরশাসন সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এইটি এই ঐতিহাসিক বার্তার একটি অংশ, যা অনেক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল এবং সারা বিশ্বের নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
মৃত্যুর সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত মহামারীর ঘটনার আনুষ্ঠানিক তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের বিশ্বাস করার কারণ আছে যে, বিশ্বের জনসংখ্যার মধ্যে স্থায়ীভাবে সীমাবদ্ধতা আরোপ করার একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আগ্রহী শক্তি রয়েছে। স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করা, মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাদের গতিবিধি ট্র্যাক করা। এই উদারপন্থী ব্যবস্থাগুলি আরোপ করা সমস্ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি বিশ্ব সরকারের উপলব্ধির জন্য একটি বিরক্তিকর প্রস্তাবনা।
কোন আশা আছে কি? আমরা কি করতে পারি?
আমাদের ভবিষ্যতের কি কোন আশা আছে? নাকি আমরা এই দুষ্ট মেগা-বিলিয়নিয়ারদের নির্মম হাতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছি যারা পৃথিবীকে উচ্ছেদ করতে চায় এবং মানবতার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দখল করতে চায়।
হ্যাঁ, আশা আছে। ভবিষ্যৎ আমাদের কল্পনার চেয়েও উজ্জ্বল!
এটি একটি ধ্বংসাত্মক ও বিষণ্ণ দৃশ্য নয়, বরং মানবতার জন্য একটি জাগ্রত আহ্বান মাফিয়া-মিডিয়া এবং বিকৃত রাজনীতিবিদদের অন্ধভাবে বিশ্বাস করা বন্ধ করা এবং স্বাধীনতার ভবিষ্যতের জন্য এক হয়ে ওঠা। আমি আপনাকে বিশ্বব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক আন্দোলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যারা মানবতাকে আশা, পুনরুদ্ধার এবং স্বাধীনতার নতুন যুগে নিয়ে যাবে যা আমরা আগে উপভোগ করতে পারি নি।
সত্য শেয়ার করুন!
এটি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার পাশাপাশি, আমি আপনাকে উৎসাহিত করবো যেন আপনি আরও একধাপ এগিয়ে যান এবং একজন সত্য বিশ্ব পরিবর্তনকারী হন। যারা আমাদের সমাজকে প্রভাবিত করে তাদের সাথে এই ওয়েবসাইটটি শেয়ার করুন। তাদের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। অনেক নেতা সহজভাবে প্রতারিত হন কারণ তারা কখনো প্রশ্ন করেন না। সত্য জানার জন্য তদন্ত করেন না। তাদেরকে জানানো আমাদের দায়িত্ব।
সরকার, শিক্ষা সংস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, আইন প্রয়োগকারী, চেয়ারম্যান, অন্যান্য নেতা, আপনার প্রতিবেশী, সকলকে এ বিষয়ে তাড়াতাড়ি জানান।
